মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি, আহত ৬
মুন্সীগঞ্জ সদরে চরাঞ্চলের শোলারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ৭টার দিকে পূর্ব বিরোধের জেরে আধারার সোলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া গ্রুপের সঙ্গে আধারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহেক মিজি গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
তবে সুরুজ মিয়া গ্রুপের সঙ্গে আলি হোসেন সরকার গ্রুপের লোকজনও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আহত প্রবাসীর স্ত্রী নিপা সরকারকে (২৫) উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসাপাতালে আনা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আহতরা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম। বর্তমানে ওই গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে আধারা ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহেক মিজি বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়ার (সাবেক মেম্বার) নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া ককলেট ও গুলিতে আমাদের ছয়জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৭-৮টি ঘর ভাঙচুর করে তারা।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া মেম্বার বলেন, আমর লোকজনের ওপর তারা (মিজি গ্রুপের লোকজন) হামলা চালিয়েছে। আমি এখন গ্রামে থাকি না। আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।