১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি

  © সংগৃহীত

ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিক থেকে ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। বাংলাদেশ বর্তমানে ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশ। চলতি বছরের ক্ষুধা সূচকে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ দশমিক ৪। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮ তম। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯ তম।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (বিশ্ব ক্ষুধা সূচক) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবছর আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানভিত্তিক ভেল্ট হ্যুঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করে।

সূচক বলছে, ক্ষুধার মাত্রা উচ্চমাত্রায় থাকলেও বাংলাদেশ ক্ষুধা নিরসনে ভালো করছে। তবে এখনও ১১.৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। আর ২ দশমিক  ৯ শতাংশ শিশু তার পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। অপুষ্টির কারণে ২৩ দশমিক  ৬ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর বয়স অনুপাতে উচ্চতা বাড়ছেনা আর ১১ শতাংশ ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয় সূচকে। 

এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্র গুরুতর কারণ এই অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে। 

এছাড়া বিশ্বের ৬টি দেশে বুরুন্ডি, শাদ, মাগাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আছে।