০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:০০

ধর্ম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো স্পেস পাবে না: মাহফুজ আলম

  © সংগৃহীত

বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব নিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে প্রধান উপদেষ্টা  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রকারী স্পেস (সুযোগ) পাবে না। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, আমরা একটা বার্তা দিতে চাই—গ্রাম বা শহর, যেখানেই হোক না কেন, যারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল করে তুলতে চাইছেন। বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তীতে দেশ ও সরকারকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, তারা জেনে রাখবেন, সরকার নিবিড়ভাবে দেশের সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব সংখ্যালঘুর পাশে আছে। সবার সঙ্গে সংলাপ ও বোঝাপাড়া হচ্ছে। তাদের সবার দাবি মেনে নেওয়ার আলোচনা হচ্ছে।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, রাজপথের আন্দোলন বিভিন্ন বিষয়ে হতেই পারে। তবে এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের অনুরোধ করব, সরকার ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুর্গাপূজা শেষ হলেই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য আমরা কাজ করব। পাশাপাশি যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের মামলার জন্য সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। আপনারা জানেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান অবস্থা। তার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীদের কোনোরকম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কমিউনিটি লিডার থাকবেন, রাজনৈতিক লিডারদের সঙ্গে গোয়েন্দা, পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা থাকবে, সবাই থাকবে। সব অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করে তুলবেন। সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একসঙ্গে আছি। দেশ-বিদেশ থেকে কোনো রকমের ষড়যন্ত্রকারী স্পেস (সুযোগ) পাবে না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
 
প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, একইভাবে বৌদ্ধ সম্প্রদায় অনুভব করছে, তারা নিপীড়িত হয়েছেন, নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আমরা নিবিড়ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি; তাঁরা যেন নির্বিঘ্নে ও আনন্দের সঙ্গে প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপন করতে পারেন। তাঁরা যে উৎসবটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, (তার আলোকে) আমরা চাইব বাংলাদেশে কোনো উৎসব যেন বন্ধ না হয়। প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের নিজেদের আনন্দ-উৎসব পালনের অধিকার আছে, তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।