০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫৫

তৃতীয় সংলাপে ডাক পায়নি বড় যে দল

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা  © সংগৃহীত

ছয় সংস্কার কমিশন ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ শনিবার (৫ অক্টোবর)। বেলা আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপিকে দিয়ে শুরু হবে আলোচনা।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ সংলাপে অন্য উপদেষ্টারাও উপস্থিত থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের তৃতীয় দফা সংলাপ।

সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, সংস্কারে গঠিত কমিশনের বিষয় ছাড়াও আলোচনা হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। দলগুলো আধা ঘণ্টা করে সময় পাবে আলোচনা করার। এ নিয়ে অখুশি দলগুলো।

তবে বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসমহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল আমন্ত্রিত হলেও ডাক পায়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)।

আওয়ামী লীগ আমলে সরকারের সুরে কথা বলে গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পায় জাতীয় পার্টি।

এর আগে প্রথম দফার বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক না পেয়ে মুষড়ে পড়েছিল সদ্য বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তবে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ৩১ আগস্ট তারা সংলাপে ডাক পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট সেনা প্রধানের বৈঠক ও রাষ্ট্রপতির বৈঠকে ডাক পাওয়ায় বেশ উৎফুল্ল ছিল জাতীয় পার্টি। এমনকি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও চেয়ারম্যানের কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের পরও ছিল বেশ চাঙা।

জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটায় বিএনপি, ৩টায় জামায়াত, সাড়ে ৩টায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকেল ৪টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, সাড়ে ৪টায় হেফাজতে ইসলাম, ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সাড়ে ৫টায় এবি পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায়। বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আবার হেফাজত রাজনৈতিক দল না হলেও আমন্ত্রণ পেয়েছে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত খেলাফত মজলিসের দুই অংশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং অনিবন্ধিত দলগুলোকে পৃথকভাবে ডাকা হয়নি।

গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন ও কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। ১ অক্টোবর থেকে কমিশনগুলোর কাজ শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাতে কমিশনগুলোতে সদস্য নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার মতামত নেয়নি। এ কর্মপদ্ধতিকে কালক্ষেপণ বলে মনে করছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আমন্ত্রণ পাওয়া দলের নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার কথা শুনবেন। রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইবেন।

সংলাপে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাম গণতান্ত্রিক জোটের (সিপিবি, বাসদ খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতন্ত্র মঞ্চের (জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন) মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, এবি পার্টির এএফএম সোলায়মান চৌধুরী নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেবেন।