রংপেন্সিল নিয়ে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে রাগারাগি, আত্মহত্যা স্কুল শিক্ষার্থীর
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে তমা আক্তার (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার ( ৪ অক্টোবর) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে প্রেরণ করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আঙ্গারোয়া বেজাইত্তেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তমা আক্তার একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও বাশাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে রংপেন্সিল নিয়ে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে রাগারাগি হয় তমা আক্তারের। পরে তার ভাইয়ের ব্যাপারে মায়ের কাছে নালিশ করে তমা। এ সময় তমার মা তাকে ধমক দিয়ে শাসন করেন। এরপর তমা রাগ করে তার ঘরে চলে যায়। পরিবারে কেউ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সন্ধ্যার পর তমার কোন সারা শব্দ না পেয়ে তার শোবার ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন তার মা। মায়ের ডাকে সাড়া না দেওয়ার পর আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করেন তিনি। লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তমাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে প্রেরণ করেন।
তমা আক্তারের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, তমা ছবি আঁকাআঁকি পছন্দ করতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে থাকা ছোট শিশুরা তার ছবি আঁকার রংপেন্সিল নিয়ে যায়। এ সময় সে মাকে শিশুরা নিয়ে যাওয়া পেন্সিল গুলো এনে দিতে বলে এবং মা তাকে বাজার থেকে নতুন পেন্সিল এনে দিবে বললে রাগে বসতঘরের নিজ কক্ষে চলে যায় তমা। একপর্যায়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে তমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে তমা আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণার মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।