ফ্যাসিস্ট আচরণ ও ট্যাগিংয়ের রাজনীতিও এখনো চলছে: তরুণ লেখক ফোরাম
সম্প্রতি বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এক বিশেষ গোষ্ঠীর অপপ্রচার এবং অসৎ তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও ফ্যাসিস্ট আচরণের বিদায় হয়নি। ট্যাগিংয়ের রাজনীতিও এখনো চলছে। একটা শিক্ষামূলক, অরাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের কমিটিতে দুই-তিনজন পর্দাশীল মেয়ে দেখেই বিভিন্ন ট্যাগ দিচ্ছে একটি মহল। এছাড়া কুৎসিত প্রোপাগান্ডাও ছড়ানো হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট আমলে কেউ ভালো কাজ করলেই ট্যাগ দেওয়ার সংস্কৃতি ছিল, সেটি এখনো রয়ে গেছে। সেই ধারা একটি গোষ্ঠী সুনিপুণভাবে অব্যাহত রেখেছে।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ফেসবুক পেজ থেকে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। পেজ দুটি হলো- 'Department of Baksal, University of Dhaka' এবং 'কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে'। মূলত সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ভুঁইফোঁড় এসব পেজ থেকে বিশেষ ঐ গোষ্ঠীর এই অপতৎপরতা।
‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। শিক্ষামূলক, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক এই সংগঠন শিক্ষার্থীদের লেখালেখির জগতে এনে বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির স্বার্থে তাদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এই সংগঠনের কাজ।
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, প্রতিদিন এই সংগঠনের লেখকদের অসংখ্য লেখা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ তথা দেশের সমস্যা, সংকট এবং সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখে সংগঠনে যুক্ত তরুণ লেখকেরা। দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা সংগঠনটিতে কাজ করছে। এমতাবস্থায় বুদ্ধিবৃত্তিক এই সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া দেশ ও সমাজের জন্যও মঙ্গলজনক নয়।
সংগঠনে কোনো রাজনৈতিক দলের লেশমাত্র নেই উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরার কারণে এই ফোরাম এবং ফোরামের অনেককে রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হতো। বিভিন্ন জায়গায় বাধা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ এই সংগঠনে রাজনীতির লেশমাত্র নেই। এখানে পুরুষেরা যেমন নেতৃত্বে আসে, তেমনি নারীরাও আসেন। মুসলিম ধর্মের মানুষ যেমন নেতৃত্বে আসেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও নেতৃত্বে আসেন এবং বর্তমানেও আছেন। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা এবং লেখালেখির দক্ষতাই বিবেচ্য হয়।
অপপ্রচারকারীদের সতর্ক করে নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন আপনারা সাবধান হয়ে যান। নির্দিষ্ট কিছু ফেসবুক পেজ থেকে যারা বা যে মহলটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অসত্য, বানোয়াট ও অযৌক্তিক তথ্য প্রচার করছেন তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।