০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২

ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, বিপাকে নগরীর মানুষ

  © ফাইল ছবি

শরতের শেষে দেখা মিলছে ঝুম বৃষ্টির। কখনও অন্ধকার হয়ে মুষলধারে, কখনও ঝিরঝির করে, থেমে থেমে ঝরা টানা বর্ষণে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকাবাসী। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রধান প্রধান সড়ক, অলিগলি ও ফুটপাতে হাঁটু পানি দেখা গেছে। পানি ঢুকে যায় দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতেও। 

বুধবার সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় বৃষ্টি, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরে ঢাকা শহরে। দীর্ঘ সময়ের বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার করলে পড়েছেন নগরীর অনেক এলাকা। এরমধ্যে জলাবদ্ধতার চিরচেনা স্থান ফার্মগেট, পান্থপথ ও তেজগাঁও মহিলা কলেজ এলাকায় অন্তত এক ফুট পানি জমে যায়।

পূর্বতেজতুরী বাজার এলাকার বাসিন্দা সানজিদ হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বাসা থেকে বের হয়ে ফার্মগেট গিয়েছিলাম, এখন বাসায় যেতে পারছি না,  রাস্তায় হাঁটু পানি জমে আটকে গেছে। আামদের ভোগান্তি দেখার মতো কেউ নাই।’

আরও পড়ুন: নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন নয়, শিক্ষা কমিশন করতে হবে

এদিকে সেই পানি মাড়িয়েই চলতে হয়েছে কর্মজীবী নানা পেশার নাগরিকদের। টানা বৃষ্টিতে এলোমেলো গাড়ি চলাচলের কারণের অনেকের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, পল্টন, গুলিস্থান, বাংলামোটর, মিরপুর রোডে দেখা গেছে চলমান গাড়ির দীর্ঘ চাপ। 

আবার যানজটে আটকে যাওয়ায় যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাও কম দেখা গেছে বাসস্টপগুলোতে। এ সময় জলাবন্ধতা, বৃষ্টি আর বাসের সংকট মিলিয়ে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। 

ঢাকায় বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ১২০ মিলিমিটার। কক্সবাজারে ১১৪ ও নোয়াখালীর মাইজদীতে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে।