সমবেদনা জানাতে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিমের বাড়িতে জামায়াতের আমির
দায়িত্ব পালনকালে নিহত সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে তাঁদের বাড়ি টাঙ্গাইলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি টাঙ্গাইল শহরের করের বেতকায় যান। এ সময় তানজিমের বাবা ও মায়ের কাছে তাঁদের ছেলের সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তিনি। পরে তানজিমের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
এ সময় জামায়াতের আমির সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের জন্য জীবন দেওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। তানজিম সেনাবাহিনীতে জেনেশুনেই গিয়েছিলেন। এটা জীবন-মৃত্যুর খেলা এবং সেটা দেশ রক্ষার খেলা।
আলহামদুলিল্লাহ, তাঁর মা-বাবাকে এ রকম একটা সন্তান দিয়ে ধন্য করেছেন। আমরা এখানে এসেছি নিজেরা গর্বিত হতে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তানজিম সম্পর্কে তাঁর মায়ের মুখ থেকে মন ভরে কথা শুনেছি। ছোটবেলা থেকেই তানজিম মেধাবী ও চঞ্চল ছিলেন। ক্লাসে কখনো দ্বিতীয় হননি। মেধার দিক থেকে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে এই নেয়ামত দান করেছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ রকম বাবার কপালে চুমু দেওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আপনাদের সবার প্রতি, এলাকার মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা তাঁদের (বাবা-মা) খোঁজখবর নেবেন। আমরাও যতটুকু পারি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমেরিকায় গিয়ে বলেছেন, এই আন্দোলন ছিল একেবারেই পরিকল্পিত।
আমি উনার বক্তব্যের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না। আমার নিজস্ব মূল্যায়ন হচ্ছে—এই আন্দোলন ছিল ছাত্রদের রাইট ইস্যুর ব্যাপার, অধিকারের ব্যাপার।’
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন (২৩) নিহত হন।