৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২

আকস্মিক বন্যায় উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

ছবি  © সংগৃহীত

আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত উত্তরাঞ্চলের লালমনির হাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলা। তিস্তা, ঘাট, যমুনেশ্বরী, করতোয়া, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত রংপুর অঞ্চলের এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তিস্তার পানি বিপৎসীমা উপচে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ঢুকে পড়েছে। বন্যার সঙ্গে কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পাঁচ জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে উঠতি আমন ধান সহ আবাদি জমির শাক-সবজি ডুবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্লাবিত পাঁচ জেলার নদ-নদীর কূলঘেঁষা চর ও চরদ্বীপসহ লোকালয়ের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, অসময়ে উত্তরের ৫ জেলায় ভয়াবহ বন্যার দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর পানি এভাবে বাড়তে থাকলে সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি উঠেছে। এরই মধ্যে ৫ জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রংপুর অঞ্চলের তিস্তা নদীসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে চলেছে। তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গণত্রাণ কর্মসূচিতে পাওয়া অর্থ যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ বন্যায়: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর)সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। ইতিমধ্যে ব্যারাজের সবগুলো কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।