৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫

বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি চর্চার ও শেখার জায়গা: অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান  © সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি চর্চার বিষয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কনটেক্সটে আর যাই কিছু থাকুক না কেন, রাজনীতি থাকতে হবে। আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ হবো কিন্তু তার আগে আমাদের নাগরিক হতে হবে। আর রাজনীতি হলো নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব। আমার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এটা বলা যদি রাজনীতি হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবশ্যই রাজনীতি করার অধিকার আছে। 

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই?' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ছাত্ররা যদি তাদের মতামত প্রকাশ না করতো ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হতো না, ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হতো না, ভাষা আন্দোলন হতো না আর ২০২৪ এ জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি রাজনীতি না হয়, তাহলে আর কোথাও রাজনীতি হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় হলো রাজনীতি চর্চার জায়গা, শেখার জায়গা। কিন্তু রাজনীতি বলতে যদি মনে করেন সহিংসতা, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় সহিংসতা করার জায়গা নয়। 

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, মেধাকে আমরা একটি স্বাধীন ভেরিয়েবল মনে করি। মেধা যার আছে সে উচ্চশিক্ষা নেবে, আর যার মেধা নেই সে ক্লাস ৮ কিংবা ৪ থেকে নেমে চলে যাবে। এটা হলো বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি। যদি আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ না করি, শিক্ষাব্যবস্থার দায় যদি জাতি কিংবা রাষ্ট্র গ্রহণ না করে, তাহলে হবে না। আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে যদি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক এবং সামর্থ্য অনুসারে একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে না পারি, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী হবে না। এজন্য আমরা একটি গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই, একটি ন্যায়ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে শক্ত করতে হলে, গণতান্ত্রিক করতে হবে, সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তারানা নূপুর, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।