২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১৩

নেত্রকোনায় অগ্নিকাণ্ডে ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নেত্রকোনায় অগ্নিকাণ্ডে ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি  © টিডিসি

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ভয়াবহ  অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়িসহ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক তিনটার দিকে উপজেলার বৈখেরহাটি বাজারে এই ভয়াবহঅগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি বসতবাড়িসহ ১২টি দোকান পুড়ে গেছে এবং ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি  ইউনিটের সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ হয়। 

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, নয়ন মহাজন, হাজী খোরশেদ, রূপক কুমার অধিকারী, সিদ্দিক মিয়া, মুস্তফা, নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, নজরুল মিয়া, তৌহিদ মিয়া,  বাবু, লুৎফুর রহমান, রেজমিন।

স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার সব থেকে বড় বাজার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বৈখেরহাটি  বাজার। বাজারের বাবুল মাস্টার সাহেবের দোকান থেকে নয়ন মহাজনের দোকান পর্যন্ত দুই বসতবাড়ি সহ ১০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার মধ্য রাতে রতন বাবুর মিষ্টি ও তৌহিদ মিয়ার বিরিয়ানি দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে। পরে স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

ক্ষতিগ্রস্ত লাইব্রেরি দোকান মালিক রূপক কুমার অধিকারী বলেন, অগ্নিকাণ্ড দুটি  বাড়ির সহ ১০ টি দোকান পড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাতের বেলা অগ্নিকাণ্ড হওয়ায় অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। ১০ দোকান ও দুই বসতঘর মিলিয়ে ১০ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছি।

কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. এমদাদদুল ইসলাম  জানান, আমরা শুক্রবার রাত তিনটার দিকে মোবাইল ফোনে বৈখেরহাটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আসি। পরে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা দেখে নেত্রকোণা ও মদন ফায়ার সার্ভিস অফিসকে খবর দিলে নেত্রকোণা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান ও আমার নেতৃত্বে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সাড়ে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। 

এদিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে শনিবার দুপুরের দিকে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক  বনানি বিশ্বাস ও কেন্দুয়া  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার  ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ও বসতঘর পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের  সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।