২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৪১

দেশের আসল সমস্যা শ্রেণি ব্যবধান: সলিমুল্লাহ খান

  © ফাইল ফটো

চিন্তাবিদ ও লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, যারা বর্তমান দেশ পরিচালনায় জড়িত, তারা মনে করছেন সংবিধান আসল সমস্যা। কিন্তু এটি নয়, দেশের আসল সমস্যা শ্রেণি ব্যবধান। শুধু ভোটাধিকার অর্জনের বিবেচনায় নয়, ধনসম্পদ অর্জনসহ অন্যান্য সুচকেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তা না হলে প্রতিবার নির্বাচনে ধনীরাই জয়ী হবে। মেধাবী, সৎ ও প্রকৃত জনপ্রিয় ব্যাক্তিরা নির্বাচিত হতে পারবে না। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা মিলনায়তনে ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে জাতীয় সংবিধানের রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতজন রফিউর রাব্বি, জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া, অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠকরা। 

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, দেশে এখন প্রধানমন্ত্রী শাসিত নাকি রাষ্ট্রপতি শাসিত গনতন্ত্র, সেনাবাহিনী কার অধীনে থাকলে ভালো হবে, দেশকে দশ প্রদেশে ভাগ করলে ভালো হবে কিনা এমন আলোচনা চলছে। মনে হচ্ছে সব সমস্যা আমাদের সংবিধানে। সমস্যা সেখানে না। আমাদের সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সমান সুযোগ ছাড়া অধিকারের কথা বলা অর্থহীন। শিক্ষা অর্জন করতে গেলে যদি টাকার বিষয় দাড়ায় তাহলে শিক্ষা অধিকার হলো কিভাবে ? স্কুলে পড়ার ক্ষেত্রে, হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে, গণযোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব ক্ষেত্রে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করা গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলা যাবে। 

তিনি বলেন, যে দেশে একজন মানুষও গুমের শিকার হয় সেখানে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়। যেখানে একজন মানুষকে বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয় সেখানে সংবিধান থাকে না। র‍্যাব গঠন মৌলিক অধিকারের সঙ্গে যায় না। এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ -এটা একটা ফ্যাসিষ্ট কনসেপ্ট। জাতির পিতার ছবি টানাতে হবে এটা একটা ফ্যাসিষ্ট বিধান। সংবিধানে উল্লেখ আছে যারা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করবে তাদের শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। কিন্তু যারা সংবিধানের উপর বসে গুম খুনের আদেশ দেবেন তাদের কী হবে? তাদেরও তো মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত। রাষ্ট্রে মৌলিক অধিকার না থাকলে রাষ্ট্রই ব্যর্থ। বুঝতে হবে রাষ্ট্রই গঠিত হয়নি।