‘আমাকে দেখে কি মনে হয়, আমি নির্বাচনে লড়ব?’
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনা করছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে দেখে কি মনে হয়, আমি নির্বাচনে লড়ব?
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে করা প্রশ্নে ড. ইউনূস এ কথা বলেন।
হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা উচিত কি না? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন উচিত হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন, তা হলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনা করছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে দেখে কি মনে হয়, আমি নির্বাচনে লড়ব?
ড. ইউনূস জানান, বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে সেই সময়সীমা ঠিক করা হয়নি। যে কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে, সেগুলো আগামী মাসে তাদের সংস্কার সুপারিশ প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপরে দেশে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্ব যতদিন বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে লেগে থাকবে ততদিন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করার জন্য সম্পাদিত প্যারিস চুক্তি কাজ করবে না বলে মনে করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার লক্ষ্য সর্বাধিক মুনাফা করা, যার মাধ্যমে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে এবং ব্যাপক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছি তা এই গ্রহের ধ্বংসের মূল চাবিকাঠি। তার মতে, মানুষ একটি ‘আত্ম-ধ্বংসাত্মক সভ্যতা’ তৈরি করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং ক্ষুদ্রঋণের উদ্ভাবক ড. ইউনূস বলেন, চুক্তিতে যতই পরিবর্তন করা হোক না কেন, বিশ্বের অন্তর্নিহিত সিস্টেমগুলোকে নতুনভাবে ডিজাইন না করা পর্যন্ত কোনো পার্থক্য তৈরি হবে না।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর করা জলবায়ু ক্ষতির বোঝা বহন করা উচিত না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের ওপর যেসব ধ্বংসের ভার চাপিয়েছেন, তার ভার কেন আমরা বহন করব? এ বিষয়ে ড. ইউনূস আরও বলেন, আপনারা কারণ, আমরা ফলাফল। কম বর্জ্য উৎপাদন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর দায়িত্ব ধনী দেশগুলোরই বহন করা উচিত বলে যোগ করেন তিনি।