দালালির চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিচার বিভাগকে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আইনের কথা বলে বিচারবিভাগকে দালালির চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাবেক বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এটা কোর্ট (আদালত), এটা তো টেনিস কোর্ট না যে জাতিকে নিয়ে খেলবেন। এখানে তো আইন অনুযায়ী চলবে। কিন্তু আইনকেও দালালির চরম সীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বারে বসে রাজনীতি করলে আপনাকে(প্রধান বিচারপতি) কেউ নিষেধ করত না। কিন্তু বেঞ্চে বসে আপনি রাজনীতি করার অধিকার রাখেন না। কেউ তো তা মানবে না। ওই কথা বলার পর আসলে তার এক সেকেন্ডের জন্য আসনে বসে থাকার আইনগত বৈধতা-নৈতিকতা সেই বিচারপতির ছিল না।
জামায়াতের আমির বলেন, ব্যাংকের সর্বোচ্চ অভিভাবককে বলতে শুনি, যে কোনো সময় কয়েকটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাদের কারণে, এরা প্রত্যেকে শাড়ির নিচে লুকানো ছিল। এদেরকে ইমিউনিটি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় ডাকাতের ওপরে সুপ্রিম কোর্ট কী করে বলতে পারে যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা চলবে না?
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার লজ্জা হয়, কোনো রাজনৈতিক নেতা পালিয়ে গেছেন এটা বলতে আমার লজ্জা হয়। যারা জনগণের খেদমতের বদলে মালিক বনে গিয়েছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আস্থার পক্ষে। তারা যদি ব্যর্থ হন এ দায় তাদেরকেও বহন করতে হবে। তারা সফল হলে বিপ্লব সফল হবে। আর তারা ভুল করলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। তারা ব্যর্থ হোক আমরা তা চাই না।
আইনজীবীদের যোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার আগে। ন্যায়বিচার সবার প্রাপ্য। এই যে গণহত্যা হয়ে গেল। এই গণহত্যায় যারা মাস্টারমাইন্ড, যাদের ওপরে গণহত্যার দায় পড়ে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সাংবাদিকদের ওপরেও নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কিংবা বিদেশে সবার শান্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশের বাইরে থেকে সাংবাদিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। তার দেশে থাকা পরিবারকে হেনস্তা করা হয়েছে। মা-বোনকে পর্যন্ত রেহাই দেওয়া হয়নি। তাদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় শুনতাম বিচার বিভাগ স্বাধীন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আইন সবার জন্য সমান। এখন সত্যি আইন সবার জন্য সমান হবে। আইন সবার জন্য কেমন সমান তা এখন সবাই বুঝবেন। বুঝে নেবেন। আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে।