আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ: হানিফ
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় আছে উল্লেখ করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অংশ নেবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মাহবুবউল আলম হানিফের প্রেস সচিব তারিক উল ইসলাম টুটুল এ বার্তাটি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠান। বক্তব্যটি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বলে নিশ্চিত করেছেন টুটুল।
বার্তায় হানিফ বলেন, এটাও মাথায় রাখতে হবে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তখনো এ রকম একটা ধাক্কা এসেছিল। সেই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এবারের ঘটনায় এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, এই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আওয়ামী লীগ আবার অতীতের মতো ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে ১০ বছর দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করার যে নীলনকশা করা হচ্ছে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বদিউল আলম মজুমদার একেবারে অগ্রহণযোগ্য কথা বলেছেন দাবি করে হানিফ বলেন, উনি একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, আবার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ, শক্তিশালী রাজনৈতিক দল; যে দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের সমস্ত উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, মর্যাদা যে দলের হাত ধরে, সেই দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের কথা বলেছেন। যেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি, ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে।