২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩

‘আবু সাঈদের রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য চাপ দেয় সরকার-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’

আবু সাঈদ  © ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা জল্পনা। তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন শেয়ার করে অনেকে বলেছেন, মাথায় ভারী কিছুর আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে তার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজিবুল ইসলাম বলছেন, ‘গুলির কারণে মাল্টিপল অর্গান হেমারেজে’ তার মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গুলির কারণে শরীরের অনেকগুলো অঙ্গে রক্তক্ষরণ থেকে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মাথায় ইটপাটকেলের আঘাতে সাঈদের মৃত্যু হয়েছে এমন প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তৎকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে চাপ দিয়েছিল বলেও গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ঘিরে ছড়ানো তথ্যগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে এই চিকিৎসক বলছেন, “এখন তো ভিউয়ের যুগ, ভিউ পেতে অনেকে অপতথ্য ছড়াচ্ছেন।”

ডা. রাজিবুল ইসলাম জানান, সাঈদের শরীরজুড়ে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। গুলি ঢুকে তাঁর শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরি করেছিল। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফলে মৃত্যু হয় তার। তাছাড়া, তার  খাদ্যনালি ও ঊরুর রক্তনালিতেও জখমের কারণে রক্তজমাট বেঁধে গিয়েছিল।

১৬ জুলাই আবু সাঈদের যখন মৃত্যু হয় তখন সরকারে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। আর এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হলো তখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।

মৃত্যুর আড়াই মাস পর সম্প্রতি সামনে আসে তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি। এ প্রতিবেদন ঘিরে আবারও আলোচনা শুরু হয়। প্রতিবেদনটি সামনে এনে অনেকেই বলতে চাইছিলেন, এখানে মাথায় আঘাতের কথা বলা আছে, যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই মাথায় আঘাত কে করেছে তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা।

তবে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত পরিচালনাকারী রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজিবুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।