শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ২০০ ছাড়াল
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪। এর মধ্যে হত্যা মামলার সংখ্যা ১৭৯।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে শেখ হাসিনা ছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশের সাবেক আইজিপি, ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১৫ আগস্ট ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে অনেক আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে।
যার মধ্যে বিভিন্ন হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় ৩৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এদিকে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৭০৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। নিহতদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তালিকায় কারো নাম বাদ গেলে সেটি জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮, খসড়া তালিকা প্রকাশ করল সরকার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ -এ সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় হতে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি আগামী ৬ অক্টোবর, পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হ’ল।