২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:০২

নবজাতক সন্তানকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা

জয়নাল উদ্দিন জাহেদ  © সংগৃহীত

নবজাতক সন্তানকে দেখতে যাওয়া চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতাকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে পাঁচলাইশ থানায় সোপর্দ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার দুপুরে নগরের ডবলমুরিং থানার মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে তাকে ধরে পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশের হাতে সোপর্দ জয়নাল উদ্দিন জাহেদ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। গত ১৬ জুলাই নগরের মুরাদপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে নিহত চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জাহেদকে পুলিশ মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ওয়াসিম হত্যা মামলার ৪৬ নম্বর আসামি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে জয়নাল উদ্দিন জাহেদের প্রসূতি স্ত্রীকে মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রবিবার রাত ১টা ১০ মিনিটে তার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। রাতে তিনি সেখানে যান। আজ দুপুরে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী হাসপাতালে গিয়ে তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তার মোবাইল ফোন তল্লাশি চালানো হয়। পরে তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে পাঁচলাইশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

অটোরিকশায় তোলার পর জাহেদ তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে যান। সেখানে দু’পাশে দুজনকে দেখা যায়। মাঝখানে তিনি বসা ছিলেন। লাইভে তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমাকে ধরেছে। আমার মোবাইল তল্লাশি করেছে। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি। শাহাদাত ভাই (চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক) নির্দেশনা দিয়েছেন।

এসময় একজনকে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদেরকে ঘরে থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু শাহাদাত ভাই নির্দেশনা দিয়েছেন কারো গায়ে হাত না তুলতে। কারো মামলা থাকলে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে। পরে লাইভটি মুছে দেওয়া হয়।