২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৭

কারাগার থেকে পালানো সেই মজনু গ্রেপ্তার

মজনু  © সংগৃহীত

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মজনুকে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানার এক দল পুলিশ।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পেছন থেকে কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র সাজাপ্রাপ্ত আসামি মজনুকে গ্রেপ্তার করে খিলক্ষেত থানার একটি টিম। মজনুকে গ্রেপ্তারের পর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপকমিশনার জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কারাগারে হামলার সময় সে কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এ ঘটনায় গাজীপুর কাশিমপুর থানায় তার নামে আরও একটি মামলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন তার বাবা। ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়।

পরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর মজনুকে (৩০) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠালে তিনি তাকে শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ মার্চ শুধু মজনুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মো. মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।