স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ
স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পদায়নবঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক সমাজের ব্যানারে এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
চিকিৎসকদের দাবি, শুধু বিরোধী মতাবলম্বী হওয়ায় শেখ হাসিনার শাসনামলে মেধা-যোগ্যতা থাকলেও কয়েক হাজার চিকিৎসককে কোনো ধরনের পদোন্নতি-পদায়ন করা হয়নি। সব বৈষম্যের দেওয়াল ভেঙে দিতেই ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে নতুন স্বাধীনতা এনেছে, তাই নতুন করে কোনো ধরনের বৈষম্য চিকিৎসকরা মেনে নেবেন না।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ডা. আব্দুল কাদির নোমান বলেন, আমরা গত ফ্যাসিবাদের সময়ে নজিরবিহীন বৈষম্যের শিকার হয়েছি। গত ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমাদের ঢাকার কোনো প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করা হয়নি। এখন আমরা ফ্যাসিবাদের শাসন থেকে মুক্ত হয়েছি, তাই আমরা ধারণা করে নিয়েছিলাম এখন হয়তো আমরা বৈষম্য থেকে মুক্তি পাব। সে জন্য গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে আমরা বৈষম্যের শিকার হওয়া চিকিৎসকদের একটা ফাইল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলোর কোনো বাস্তবায়ন এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়।
এখন পর্যন্ত বৈষম্য শেষ হয়নি বলে মনে করেন ডা. আব্দুল কাদির। দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লব হয়েছে বৈষম্য অপসারণের জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গত ১৬ বছর ধরে বঞ্চিত হয়েছি, আর বঞ্চিত হতে চাই না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক এসেছেন, আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু এতদিন যারা প্রকৃত অর্থেই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, এখন পর্যন্ত সেই বৈষম্য নিরসনের কোনো উদ্যোগ দেখছি না। উল্টো কিছু সুযোগ-সন্ধানী ব্যক্তি দিন দিন পদোন্নতি-পদায়ন বাগিয়ে নিচ্ছেন।
এই চিকিৎসক নেতা আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদকে সরিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। প্রয়োজনে বৈষম্য থেকে মুক্ত হতে আমরা আবারও লড়াই-সংগ্রাম শুরু করব। তবু আমরা বৈষম্যের শিকলে আর আবদ্ধ থাকব না।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের একাডেমিক সেক্রেটারি ডা. এস শরীফ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে এখনও পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা রাজত্ব করে চলছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের তুলনায় এখানে কোনো পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক আসায় আমরা ভেবেছিলাম দীর্ঘ বৈষম্য থেকে আমাদের এবার মুক্তি মিলবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো তৎপরতা দেখছি না।