পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাঙামাটির ঘটনা তদন্ত করতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টিম গঠন করা হবে। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবে অবনতি হতে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কেউ পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করলে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে। এই সহিংস ঘটনায় যারা জড়িত, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা।
এর আগে আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রাঙামাটি আসেন তিন উপদেষ্টা। রাঙামাটিতে এসে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের সম্মেলনকক্ষে সভা করেন।
বৈঠক সূত্র জানা যায়, গতকাল শুক্রবারের সহিংস ঘটনার অবস্থা বর্ণনা করে বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত গুজব ছড়িয়ে রাঙামাটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হয়। এ ঘটনায় বাইরে কোনো শক্তি কাজ করেছে। সভা সঞ্চালনা করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার, চাকমা সার্কেল চিফ, সাংবাদিকদের পক্ষে সুশীল প্রসাদ চাকমা বক্তব্য দেন।
এদিকে গতকাল রাঙামাটি শহরের সহিংসতা ঘটনায় এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিবেশ। বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, গণপরিবহন ও নৌযান চলাচল। মাঠে রয়েছে পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনী। কোথাও কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকালের ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যালয়সহ, বনরুপা, দক্ষিণ কালিন্দপুর, বিজন সারণি, উত্তর কালিন্দপুর, হাসপাতাল এলাকাসহ একাধিক এলাকার অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকদের বাইকসহ শতাধিক যানবাহনে আগুন দেওয়াসহ ভাঙচুর চালানো হয়েছে। রাঙামাটি জেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় অফিসের যানবাহন।