রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে নিহত ৪, আহত শতাধিক
সহিংসতা সংঘর্ষে উত্তপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়িতে তিনজন নিহত হয়েছেন। খাগড়াছড়ির সংঘর্ষের জেরে উত্তাল রাঙামাটিতেও একজন নিহতের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন প্রশাসন।
খাগড়াছড়িতে নিহতরা হলেন– ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। ২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাঙামাটি সদরে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জেলা সদরের বনরূপা, উত্তর কালিন্দীপুর, কালিন্দীপুর এবং বিজন সরণি এলাকার দেড় কিলোমিটারজুড়ে সংঘাত চলে।
সংঘর্ষের ঘটনায় একজন পাহাড়ি যুবক নিহত। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের শতাধিক। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটিতে ২০ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতের নাম অনিক কুমার চাকমা। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাঙামাটি সদরের নোয়াদমের জীবতলী ইউনিয়নে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিন পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মব জাস্টিস বন্ধ ও পাহাড়ে অরাজকতা বন্ধের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
জানা যায়, হামলাকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কার্যালয়ে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়ের নিচের অংশ পুড়ে যায়। একটি বৌদ্ধমন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায় এবং বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। তবে অনিক নামে যে যুবক মারা গেছেন, তিনি কোথায় এবং কীভাবে মারা গেছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়।