পাহাড়ে সড়ক ও নৌপথে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জুম্মদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকানে আগুন দেয়া ও তিন জুম্মকে হত্যার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে নৌপথে ও সড়ক পথে এ অবরোধ পালন করা হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র নভাংশু চাকমা এ অবরোধের ডাক দেন।
এ সময় বক্তব্য দেন- ড. আজয় প্রকাশ চাকমা, রুবাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, মানবাধিকার কর্মী ইলিরা দেওয়ান, ওহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা, ছাত্র নেতা অজেল ত্রিপুরা প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-
১. দীঘিনালায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় আক্রান্ত জুম্মরাসহ খাগড়াছড়ি ও তিন পার্বত্য জেলার জুম্ম জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ জানমাল রক্ষা করতে হবে।
২. জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত কমিশন গঠন করে এ ঘটনার তদন্ত করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহদের সুচিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. জুম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ বিহার, দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. স্থানীয়ভাবে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের দায় অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের বরখাস্ত এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনা ও সেটলারদের প্রত্যাহার করতে হবে ।
৭. পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করণে আগামী ৬ মাস সময়ের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও স্বায়ত্ত্বশাসন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।