১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪

চাঁদাবাজি-দখল বন্ধে বিএনপির এক পক্ষের সমাবেশে অন্য পক্ষের হামলা, আহত ৮

বিএনপি  © সংগৃহীত

রাজবাড়ীতে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জবর-দখল, চুরি-ছিনতাই বন্ধ করা নিয়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির খৈয়ম ও আসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চন্দনী বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপি আসলাম গ্রুপের নেতা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ চারজন আহত হন। আহত অন্যরা হলেন চন্দনী ইউনিয়নের সোরাব মণ্ডলের ছেলে শামীম (২৪), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আরাফাত ইসলাম রাফি (১৮) ও সুভাষের ছেলে শশী (১৯)। আহতরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

অন্য পক্ষে বিএনপি খৈয়ম গ্রুপের নেতা মো. কামরুল (৩২), মো. খোকন (৩৫), মো. বাচ্চু (৩৪) ও রইচ (৩০) গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চন্দনী বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী টুকু বলেন, আমার দোকানের সামনেই প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল, কিন্ত হঠাৎ করে সমাবেশে দূর্বৃত্তরা আমার হোটেলে হামলা করে পালিয়ে যান। আমার বেশ ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার চন্দনী বাজারে বিএনপি খৈয়ম গ্রুপের যুবদলের পূর্বনির্ধারিত সভা ছিল। হঠাৎ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক বিএনপির যুবদল নেতাও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

রাজবাড়ী জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে চন্দনীর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জবর-দখল, চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হন ভিপি মালেকের অনুসারীরা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে এসব অপকর্ম বন্ধ করার লক্ষ্যে আমরা চন্দনী বাজারে একটা সমাবেশ করি। সেখানে ভিপি মালেকের অনুসারীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আমাদের নেতাকর্মী ও ছাত্রদের ওপর অর্তকিত হামলা করে ৪-৫টি দোকানসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। 

চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মালেক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি। আমি নিজে যেখানে উপস্থিত ছিলাম না, সেখানে আমাকে কীভাবে দোষারোপ করা হয়? তবে আমি জানতে পেরেছি বিএনপির দুই গ্রুপের একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ থাকায় সেটা নিয়েই মূলত সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ইফতেখারুল আলম প্রধান শুক্রবার সকালে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।