১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩৩

মাজারে হামলাকারীদের শাস্তি চায় একতার বাংলাদেশ 

একতার বাংলাদেশ  © টিডিসি ফটো

ভিন্ন মতাদর্শী এবং মাজারের উপর যারা হামলা করছে তাদেরকে ধরে ধরে শাস্তির আওতায় আনার আহবান জানিয়েছেন একতার বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দেশব্যাপী মাজার ও ধর্মীয় স্থাপনার উপর হামলার প্রতিবাদে এবং ধর্মীয় বহুত্ত্ববাদের প্রতি সঙ্গহতি প্রকাশ করে 'একতার বাংলাদেশ' কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

যারা ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করে তদের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন, যার হাত ও মুখ থেকে কেউ নিরাপদ না সে মুসলিম হতে পারে না। মাজার এই বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতি এই ঐতিহ্য কেউ নষ্ট করতে পারে না। যারা এই মাজার সহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার সাথে জড়িত তাদের শাস্তির  আওতায় আনতে হবে।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে সিলেটের শাহপরান (রহ.) মাজারে সংঘর্ষে আহত ২০

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাফি মোহাম্মদ মুস্তফা বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের সাথে সুফিবাদ গভীরভাবে সম্পর্কিত। ১৮৭২ সালের পরিসংখ্যানে অনুযায়ী বাংলা ভূখণ্ডে মুসলমানদের সংখ্যা ৪৮% ছিল। একই সময়ে মুসলিম শাসনাধীন দিল্লিতে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ১১ শতাংশ। এর দ্বারা স্পষ্ট হয় যে ক্ষমতা কিংবা তরবারির জোরে ইসলাম প্রসার লাভ করে না বা নিপীড়ন কোনো বিষয়ে সমাধান দিতে পারে না। 

একতার বাংলাদেশের মুখপাত্র তাহমিদ আল মুদাসসির বলেন, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশে চরম ইসলামফোবিয়া দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আজান নিষিদ্ধ ছিল। এগুলো ইসলামকে নিশ্চিন্হ করার জন্য করা হয়েছিল। এখন যারা মাজারের উপর হামলা করছে তারাও ইসলামফোবিয়া তৈরির চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, মাজারের উপর হামলার দায় চরম ইসলামপন্থীদের উপর চাপানো হচ্ছে। কিন্তু সেকুলাররাও এই দায় এড়াতে পারে না। একসময় লালসালু উপন্যাস দিয়ে মাজার বিরোধী জনমত তৈরি করা হয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চাই সেখানে সকল মতাদর্শের মানুষ থাকবে। এই বাংলাদেশেকে তৈরি করতে আমরা আবার রক্ত দিতে