১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৬

দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠাতে বাংলাদেশের কাছে ভারতের আবদার

ইলিশ মাছ  © সংগৃহীত

সারদীয় দুর্গাপূজার আগে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই ভারতে পাঠানো হতো বাংলাদেশের ইলিশ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতের বাজারে পৌঁছানোর পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।

প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ যায় ভারতে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। এবার হাসিনা আর সরকারে নেই। তবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে। ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন ইলিশ রপ্তানির জন্য় আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন।

গত বছরও ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ ভারতে যাবে, আদৌ যাবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।

সংবাদমাধ্যমটির দাবি, অনেকের মতে অন্তর্বর্তী সরকার আসার আগে থেকেই বাংলাদেশে ভারতবিরোধী বাতাস বইতে শুরু করেছিল। তবে এবার সেই বাতাস কি ইলিশের ওপরেও পড়বে? এসব নিয়ে আলোচনা একেবারে তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: আনন্দবাজারের ক্যাপশন— ‘সৌজন্যের ইলিশ’ আসা বন্ধ হলেও ‘দরকারি ডিম’ গেল বাংলাদেশে

এদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, আমরা ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিতে পারি না, যখন আমাদের নিজেদের লোকজন এগুলো কিনতে পারে না। শেখ হাসিনা আমলে পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গে টনকে টন পদ্মার ইলিশ গেলেও এবার আর যাচ্ছে না; তাই পূজার আগে ভারতের বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর জেরে দাম বাড়ছে।

ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে দুর্গাপূজা হবে। তার ঠিক আগমুহূর্তে ভারতে এই মূল্যবান মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও বিশেষ এই সময়ে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ খেতে পছন্দ করেন কলকাতার বাঙালি বাবুরা।