পেট্রোবাংলায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সমর্থিত তিতাস গ্যাস কোম্পানির হারুনুর রশীদ মোল্লাহকে সরিয়ে শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়। এরপর নতুন এমডিকে যোগদান করতে না দিয়ে তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারিরা পেট্রোবাংলায় ভাংচুর চালায়।
হামলা ও ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনে (পেট্রোবাংলা) চারজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
আরও পড়ুন: তিতাস গ্যাসে বিপু সমর্থিত এমডিকে সরানোর পর পেট্রোবাংলায় ভাংচুর করলো কর্মচারীরা
বরখাস্তরা হলেন, অনুসন্ধান ও সমীক্ষা প্রকল্পের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. তারিকুল ইসলাম, সেবার উপ-মহাব্যস্থাপক মো. আবদুল জলিল, পরিকল্পনা কৌশলের ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং প্রশাসন বিভাগের উচ্চমান সহকারী মো. নজরুল ইসলাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা ভবনে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পেট্রোবাংলা ও তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ হামলা চালান। হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, তিতাসের লোকজনের দাবি হচ্ছে তাদের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এমডি করতে হবে। কিন্তু পেট্রোবাংলার সিনিয়রিটির তালিকায় তিতাস গ্যাসের শীর্ষ ৫০-৬০ এর মধ্যেও কেউ নেই। আবার অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এটা করে একশ্রেণির লোকজন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
এরআগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির মহাব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।