জমাট যানজটে নিশ্চল নগরজীবন
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালের পর থেকে তীব্র যানজটে নাকাল ঢাকাবাসী। এদিকে ভাদ্রমাসের শেষে এসে গরমের তীব্রতা অনেকটাই বেশি। সোমবার রাজধানী ঢাকার তাপমাত্র ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে গরম ও যানজটে জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েছে রাজধানীবাসীর।
ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে মগবাজার-মহাখালী, খামারবাড়ি-ফার্মগেট-শাহবাগ-কারওয়ানবাজার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
শুধু মগবাজার-মহাখালী, খামারবাড়ি-ফার্মগেট-শাহবাগ-কারওয়ানবাজারই নয় শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের কারণে হাতিরঝিল, রামপুরা, মগবাজার, শান্তিনগর, কাকরাইল ও মিন্টু রোড এলাকায়ও তীব্র যানজট দেখা গেছে। যানজট ছিল হাতিরঝিলেও। এসব এলাকায় শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
রাজধানীর নতুনবাজার-বাড্ডা থেকে অন্যদিন প্রেসক্লাব-হাইকোর্ট এলাকায় আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে সর্বোচ্চ। সোমবার দুপুরে আসতে গিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেছে। প্রগতি সরণী, লিংক রোড, গুলশান -১, রামপুরা, হাতিরঝিল, কাকরাইল, বাংলা মোটরের প্রধান সড়ক ছিল স্থবির।
বাংলা মোটর এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যরা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। কিন্তু শিক্ষার্থীরাা রাজপথে আন্দোলন শুরু করা এমনটি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আছি, আমাদের করার কিছু নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোনের বিষয়টি আমরা আগে থেকে জানতামও না।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো, ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত সব ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের কারিগরি অধিদপ্তর এবং সব প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত স্থানান্তর করা, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি নিশ্চিত করা, প্রতি সেমিস্টার পূর্ণ ছয় মাস মেয়াদের করা, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে (১০ম গ্রেড) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্য কেউকে আবেদনের সুযোগ না দেয়া এবং উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত কোনো জনবল না রাখা, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্য পদে কারিগরি জনবল নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষকসংকট দূর করা, উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ সিট নিশ্চিত করার দাবি জানান শিকার্থী