০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৪৮

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিনি : সালমান মুক্তাদির 

সালমান মুক্তাদির  © ফাইল ছবি

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির। তবে সদস্য হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ফলে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটির ৫৫ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। 

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে সালমানের সদস্য পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। পরে সালমান মুক্তাদির জানান, এ বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। কয়েকঘণ্টা আগে তাকে ওই কমিটির বিষয়ে জানানো হয়েছে, তবে তিনি কিছুটা সময় নিয়েছেন। তিনি এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি।

আরও পড়ুন : জাতীয় নাগরিক কমিটিতে সালমান মুক্তাদির ও মানজুর আল মতিন

তিনি আরও জানান, জনমানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি এত গুরুত্বপূর্ণ কোন কর্মকাণ্ডে তিনি যুক্ত হতে চান না। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমি ওই কমিটির পদ দখল করবো না যদি দেশের মানুষ মনে করে যোগ্য অন্য কেউ ওই পদের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে।

যদিও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা সালমানের সঙ্গে আজও (রবিবার) কথা বলেছি। তার সঙ্গে তিন সপ্তাহ আগে যোগাযোগ করেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা ধারনা করছি তিনি ঢাকার বাইরে আছেন। তাই মিসকমিউনিকেশন হয়েছে কী-না বলা যাচ্ছে না। আমরা আগামীকাল বা পরশু এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আরও পড়ুন : ফেরদৌস-রিয়াজকে 'টোকাই' আখ্যা, ফেসবুকে কড়া স্ট্যাটাস সালমান মুক্তাদিরের

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যসংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানা গেছে।

কমিটির পক্ষ থেকে আটটি প্রাথমিক কাজের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহির পরিসর তৈরি করা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণ–আলোচনার আয়োজন করা।