‘বিজেপি-আওয়ামী শক্তি’ যেন পুনর্বাসনের রসদ জোগাড় করতে না পারে: দেবাশিস চক্রবর্তী
চিত্রশিল্পী ও লেখক দেবাশিস চক্রবর্তী বিজেপি-আওয়ামী শক্তি’কে পুনর্বাসনের রসদ জোগাড় না করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (৭ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি লেখেন, ইসলামিক দর্শনকে 'দর্শন' হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, ইসলামকে বিশ্বমানবতার এজমালি উত্তরাধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠার কাজ ইসলামিক স্কলার আর এলেমদার মানুষজনকেই করতে হবে। পরিচয়ের দিকে থেকে 'বিধর্মি' সহযোগী শক্তি হিসাবে থাকতে পারে। কিন্তু এইটা তাদের কাজই না। যেই রংবাজি শুরু হইছে, তাতে মনে হচ্ছে বিজেপির অল্পকিছু সচেতন সমর্থকের সাথে অচেতন এক বিপুল সংখ্যক মুসলমান সমর্থক বাংলাদেশে আছে। বুঝে বা না বুঝে তারা বিজেপির রাজনীতির রসদই সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, কাজটা ভাল হচ্ছে না। মনে রাখবেন, রাষ্ট্রীয় পরিসরে বিদেশী আধিপত্য খর্ব করা কখনো সম্ভব হইলেও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য বাংলাদেশ সব সময়ই প্রাসঙ্গিক থাকবে।
বিজেপির রাজনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, বিজেপির রাজনীতি বুঝার এলেম যদি না থাকে তবে সামনে বিপদের সীমা থাকবে না। 'হিন্দু খাত্রে মে হ্যায়' এবং 'ইসলামী জঙ্গিবাদ' বিজেপির রাজনীতির বড় পলিটিক্যাল কারেন্সি। এই কারেন্সি দেদারসে সরবরাহ করবেন কিনা ভেবে দেখেন।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গি আক্রান্ত বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য বিজেপিআওয়ামী শক্তিকে পুনর্বাসন করার ন্যারেটিভকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করছেন কিনা ভেবে দেখেন। যদি মনে করেন যে ইসলামিক দর্শন বিশ্বমানবতার 'দর্শন', এই দর্শনে সকলের হিস্যা আছে, সকল মানুষের উত্তরাধিকার, তবে সেই হিসাবে নতুন ভাষা তৈয়ার করা ছাড়া পথ নাই। ভাবেন।
এদিকে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে উল্লেখ করে ভারতের অভ্যন্তরে রাজনীতির মাঠ গরম করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় ইসলামি মৌলবাদ উল্লেখ করে বক্তব্য দিচ্ছে দলটি।
এছাড়াও মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, কতিপয় গোষ্ঠীর হিন্দুদের বাড়িঘর আক্রমণে বিজেপি আবার ইস্যু খুজেঁ রাজনীতি করছে বলে অভিমত অনেকের।
এছাড়াও সম্প্রতি স্বৈরাচারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে কোনঠাসা থাকলেও ব্যক্তিপর্যায় জাতীয় সংগীত পরিবর্তনে কথা উঠলে সেটাকে ইস্যু করে আওয়ামী লীগ ঘেষা সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী প্রতিবাদে মাঠে নামলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি এ ধরনের নানা ইস্যু নিয়ে দেবাশিস কথা বলেছেন বলে জানায় তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
উল্লেখ্য চিত্রশিল্পী ও লেখক দেবাশিস চক্রবর্তী জুলাই ছাত্রবিপ্লবে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তার আকাঁ বিভিন্ন আর্ট, লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।