০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯

যদি নির্বাচন হয় দু’টো হতে হবে : ফরহাদ মজহার 

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কবিতা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার  © টিডিসি ফটো

যদি নির্বাচন হয় দু’টো নির্বাচন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে গণতন্ত্র বলে না, নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের চর্চা। সার্বভৌম অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে যদি বাংলাদেশ গঠিত হয় তখন যে গঠনতন্ত্র প্রণীত হবে, সে গঠনতন্ত্রের বর্ণিত নির্দেশাবলির অধীনে সরকারের নির্বাচন হবে। যদি নির্বাচন হয় বাংলাদেশে দু'টো নির্বাচন হতে হবে। আগে হতে হবে গঠনতন্ত্র প্রণয়ের নির্বাচন মানে গণপরিষদের নির্বাচন। তারপরে হতে হবে সরকারের নির্বাচন। 

গতকাল শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বঙ্গীয় সাহিত্য সভার 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কবিতা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন আয়োজনের প্রধান আলোচক। 

তিনি আরও বলেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে সকলের অভিপ্রায়ে পৌঁছানো এই উপায়কে রাজনৈতিক সাহিত্যে বলা হয় পপুলেস্ট সভরেনটি। পপুলেস্ট সভরেনটির ভিত্তিটা হলো জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা। আর জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা, তার পরম অভিব্যক্তিকেই গণতন্ত্র বলে। 

মতের চেয়ে চিন্তার স্বাধীনতার গুরুত্ব বেশি আখ্যা দিয়ে ফরহাদ মজহার বলে, চিন্তার মাধ্যমে আধুনিক রাষ্ট্রের যে ধারণা সেখানে এটা হয়ে উঠে গঠনতান্ত্রিক কাউন্সিল। আগামী দিনের রাষ্ট্র গঠনে পরামর্শ সহায়ক হবে। আমরা সকলে মিলে খণ্ড খণ্ড হয়ে আছি। আমাদের সকলের ইচ্ছা, সকলের অভিপ্রায় খণ্ড খণ্ড হয়ে আছে। আমরা চিন্তা করবো সকলে মিলে, পরস্পরের সাথে তর্ক করবো সুন্দর পরিবেশে। সে তর্কের মধ্য দিয়ে আমরা সমষ্টির অভিপ্রায়ে পৌঁছাবো। এই যে সমষ্টির অভিপ্রায়ে পৌঁছানোর অভিপ্রায় একেই রাজনৈতিক সাহিত্যে বলা হয় গঠনতান্ত্রিক কাউন্সিল।

আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনারের গাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার জুতা নিক্ষেপ

নতুন করে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট কাউন্সিলের পরামর্শগুলো জাতীয় গঠনতান্ত্রিক কাউন্সিলে পাঠাতে হবে। আমাদের এই পরামর্শের ভিত্তিতে আরও যত পরামর্শ আছে তার সারমর্মে একটা প্রস্তবনা বা, খসড়া তৈরি করে নতুন গঠনন্ত্র তৈরি করতে হবে। আর সে গঠনতন্ত্র যদি সে গণপরিষদে পাস হয় তাহলেই আমরা একটা নতুন রাষ্ট্র গঠন করলাম। নতুন রাষ্ট্র গঠন চিন্তা ছাড়া অসম্ভব। পরস্পরের সাথে আলোচনা করেই করতে হবে, বিরোধ বা, ঝগড়ার মাধ্যমে নয়।

বঙ্গীয় সাহিত্য সভার এই আয়োজনে আরও বক্তৃতা করেন, মাহবুব মোর্শেদ, সাখাওয়াত টিপু, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, এহসান মাহবুব, মৃদুল মাহবুব। এছাড়া ৭০ জন উন্মুক্ত কবিতা পাঠ করেন।