ভারতের ডুম্বুর বাঁধের উদ্দেশে লং মার্চ
হাতে ও মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে, ব্যানার নিয়ে পিকআপ ভ্যানে চড়ে লং মার্চ শুরু করেছেন সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীতে ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে’ ভারতের অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে শুরু হয়েছে তাদের এই লংমার্চ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্ব লংমার্চটি শুরু হয়।
এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘এই গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব’, ‘সোনিয়া আর গেরুয়া মোদি, গুম করেছে আমার নদী’, ‘খুনি ভারতের নদীর বাঁধ, বাংলাদেশের মরণফাঁদ’, ‘পদ্মা-তিস্তা-আবরার, যুদ্ধে ডাকে বারবার’, ‘স্বর্ণ দাস মরলো কেন, খুনি ভারত জবাবে দে’, ‘ফেলানী ও স্বর্ণা দাস, কাঁটাতারে ঝুলছে লাশ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
ইনকিলাব মঞ্চ একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন বলে জানান এর উদ্যোক্তারা। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে তারা দাবি করেছেন। এর উদ্যোক্তরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান একদল শিক্ষার্থী।
সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
শুক্রবার লং মার্চে অংশ নিতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ সকাল থেকেই জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তাদের বহন করার জন্য ১০টি পিকআপ ভ্যান এসে অপেক্ষা করছিল। এরপর জড়ো হওয়ার ব্যক্তিরা এসব পিকআপে উঠে লংমার্চ শুরু করেন।
লংমার্চের শুরুতে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, গত ১৭ বছরে একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের কারণে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি, প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু এখন আমাদের সামনে কোনও ফ্যাসিস্ট নাই। আমরা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের দেওয়া অবৈধ সব বাঁধ ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা এই দাবিতে আজ লংমার্চ আহ্বান করেছি। ভারতের সব ধরনের পানি সন্ত্রাস ও আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
এর আগে গত বুধবারের সংবাদ সম্মেলন লংমার্চের রুটগুলো তুলে ধরে ইনকিলাব মঞ্চ। সেখানে জানানো হয়, এই লং মার্চ সকাল ১০টায় যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় ও দুপুর ২টায় চান্দিনায় একটি পথসভা করবে। এরপর বিকাল ৪টায় কুমিল্লার টাউন হলে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে পদযাত্রা নিয়ে বিবির বাজার পৌঁছাবে মার্চটি।