নির্বাচন কমিশনার কি আজ পদত্যাগ করছেন?
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় আজ বৃহস্পতিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। যেকোনো মুহূর্তে এসংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনাররা আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিইসি। এদিন বিকেলে নিজ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে জানতে চান সাংবাদিকরা। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, কালই পদত্যাগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
জানা গেছে, পদত্যাগের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) পদত্যাগের নথি এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সংবাদ সম্মেলন থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে। ইসি সূত্র জানায়, কোনো কিছুর ব্যত্যয় না ঘটলে আজই কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণা আসবে।
সূত্র মতে, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। নিয়োগের এক দিন পর তাঁরা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন।
এই কমিশনের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনটি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করে। ভোট শেষে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: কারামুক্ত হলেন রিজেন্টের সাহেদ
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দিন দেশে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ার তথ্য জানানোর পর এই কমিশন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা তৈরি হয়।