বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১১২ শ্রমিক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তী ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে সহিংসতায় অন্তত ১১২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ।
লেবার স্টাডিজের রিপোর্টটি মূলত ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে ২৩ শিশু শ্রমিক ছিল, যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়।
মৃতদের মধ্যে ২১ জন দোকানদার, ১৫ জন রিকশাচালক, ১২ জন পরিবহনকর্মী, ৯ জন পোশাক শ্রমিক, ৯ জন দিনমজুর, ৬ জন নির্মাণশ্রমিক, ৫ জন হকার, ৪ জন হোটেলকর্মী এবং বাকিরা বিদ্যুৎ ও ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করতেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অন্তত ২৫ জন অন্যান্য শ্রমিকও আহত হয়েছেন এবং দুই শিশুসহ মোট পাঁচজনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিআইএলএস-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত ইনস্টিটিউট বিভিন্ন সংবাদপত্র থেকে ১১২ জন শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের নাম সংগ্রহ করেছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ তারা এখনও নিহতদের তালিকা হালনাগাদ করছেন।
শ্রমিক নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যুর বড় সংখ্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শ্রমিক নেতা মিন্টু ঘোষ হত্যাকারীদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের একটি তালিকা তৈরির কাজও তারা করছেন এবং এখন পর্যন্ত আন্দোলনে নিহত ১২ জন গার্মেন্ট শ্রমিকের নাম চিহ্নিত করেছেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্য এবং অন্যান্যদের দেখতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।