বাবা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা ভাবতেই ‘কষ্টে বুক ফেটে যায়’ ছেলে মাসুদ সাঈদীর
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছেলে মাসুদ সাঈদী। বাবা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা ভাবতেই ‘কষ্টে বুক ফেটে যায়’বলে মন্তব্য করেছেন ছেলে মাসুদ সাঈদী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে পারিবারিক কবরস্থানের একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি ওই স্ট্যাটাস দেন।
পোস্টে মাসুদ সাঈদী লেখেন, ‘বাবা ও বাবা! তোমায় ভেবে ভেবে কষ্টে ফেটে যায় বুক/অপলক চেয়ে চেয়ে লোনা জলে ভরে যায় চোখ/বিরহের কষ্ট বড় কষ্ট, এত দিন পরে বুঝেছি আমি/তুমি ছাড়া এ হৃদয় শূন্য মরুভূমি।’
এর আগেও মাসুদ সাঈদী বাবাকে নিয়ে আবেগঘন কথা বলেছেন। জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম করে এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খুনের বদলা নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত ১৭ আগস্ট আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধে ইসলামি পণ্ডিত, বক্তা এবং রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ২০১৩ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
এরমধ্যে দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় দেন। সাঈদীর বিরুদ্ধে থাকা ২০টি অভিযোগের মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে ৬, ৭, ৮, ১০, ১১, ১৪, ১৬, ১৯ নম্বর অভিযোগ। এরমধ্যে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয়।