২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১

বিগত সরকারের শেষ অর্থবছরে তিন মাসে বেকার ১১ লাখ মানুষ

দেশে তিন মাসে প্রায় পৌনে ১১ লাখ মানুষ বেকার হয়ে গেছেন  © ফাইল ছবি

সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ অর্থবছরের শেষ তিন মাসে প্রায় পৌনে ১১ লাখ মানুষ বেকার হয়ে গেছেন। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় কাজে নিয়োজিত মানুষের এ সংখ্যা কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। 

দৈব চয়নের ভিত্তিতে এক হাজার ২৮৪ নমুনা এলাকায় এক লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, তিন মাসে শ্রমশক্তি হিসেবে কাজে যোগদানে যোগ্য মানুষের সংখ্যা ৯ লাখের বেশি কমেছে। আর সার্বিক বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে।

সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টা বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কিংবা খানার ভোগের জন্য পণ্য উৎপাদনমূলক কাজ করাকে কাজে নিয়োজিত বোঝানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নির্দেশনা অনুসরণে সংজ্ঞাটি করেছে বিবিএস। তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসে কর্মে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আগের অর্থবছরে ছিল ৭ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার। সে হিসাবে এক বছরে ১০ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান কমেছে। 

এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৩০ হাজার ও নারী ৭ লাখ ৪০ হাজার। এ সময়ে নতুন করে বেকার হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৪০ হাজারে। গত বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ। পুরুষদের মধ্যে তিন মাসে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ২০ লাখ ৬৪ হাজার। 

আরো পড়ুন: অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন

নতুন বেকারদের মধ্যে পুরুষ বেশি। এ সময়ে বেকার ছিল ১৮ লাখ ৫০ হাজার পুরুষ, গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ লাখ ৭০ হাজার। তাদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে এক লাখ ৮০ হাজার। তবে নারীদের মধ্যে বেকারত্ব কমেছে। ৮ লাখ ৩০ হাজার থেকে কমে ৭ লাখ ৯০ হাজারে নেমে এসেছে। 

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন সময়ে শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী বেড়েছে।  নতুন করে শ্রমশক্তির বাইরে অবস্থান করছে ২০ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। এ সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার, গত বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার।