২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৪

সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সালমান এফ রহমান  © সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। তবে সালমান এফ রহমানের কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা বেক্সিমকো গ্রুপের কোনো কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক হিসাব জব্দের এই নির্দেশনা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।

বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হলো।’

সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টার পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। বেক্সিমকো গ্রুপের বহুবিধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একই সঙ্গে গ্রুপটি মোটা অঙ্কের রপ্তানি আয়ও করে থাকে। এসব বিবেচনায় ব্যবসা সচল রাখার জন্য বেক্সিমকো গ্রুপের কোনো কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। শুধু সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। 

সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি) চিঠি দেয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউর কাছে পাঠাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বেক্সিমকো গ্রুপের হিসাব সচল রাখা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিকতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 
গত ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান সালমান এফ রহমান। ওই বছর তাকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়। এছাড়া ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত দুটি জাতীয় নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।