২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১৮

দেশের সিস্টেমগুলোর সংস্কার শুরু করতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্র দিয়ে: সারজিস আলম

সারজিস আলম  © সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, দেশের সিস্টেমগুলোর সংস্কা শুরু করতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্র দিয়ে। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ বার্তা দেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, দেশের সিস্টেমগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। শুরু করতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্র দিয়ে৷ এই কারিকুলাম আর পাঠ্যপুস্তক জেনারেশন ধ্বংসের গোড়া।

এদিকে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট করেছেন সংগঠনটির সমন্বয়ক সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। 

সারজিস বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার কি করেছে? ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। যত রাজনৈতিক দল ছিল, তাদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হয়রানি করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, এলাকা ছাড়া করেছে। এটিকে আমরা কখনোই সমর্থন করি না বলেই আজ ১৬ বছর পরে হলেও ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশছাড়া হয়েছে। কিন্তু আজকে যদি অন্য কোনো একটি দল বা অন্য কোনো একটি দলের নেতাকর্মীরা একই কাজ করে, তাহলে আওয়ামী লীগ থেকে কি শিক্ষা নিলেন?’ 

সারজিস আরও বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখবেন আমরা নির্যাতকের পরিবর্তন চাই না, আমরা এই নির্যাতনের যে সিস্টেম তার পরিবর্তন চাই। আমাদের স্পষ্ট বার্তা। আপনাদের চোখের সামনে অনেকগুলো জ্বলন্ত উদাহরণ আছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিন। নাহলে জনগণ আপনাদেরকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। আমরা যেন এটা না দেখি কাউকে মিথ্যা মামলার ওই চক্রে যেতে হচ্ছে, বিনাদোষে কাউকে নির্যাতন করা হচ্ছে বা ঘরবাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনছি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির একটি নতুন চক্র গড়ে উঠছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের জায়গা থেকে এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিপক্ষে। জনগণ যদি একবার এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে আপনাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তাই জনগণের চাওয়া ও সময়ের দাবির কথা চিন্তা করুন। আমরা এটা সমর্থন করিনা।’ এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বানও জানান সারজিস। 

বিভিন্ন সেতুতে শিক্ষার্থীদের কথা বলে টোল বন্ধ করার বিষয়েও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান তুলে ধরে সারজিস বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, সারাদেশে ১৫টি ব্রিজে টোল দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ছাত্রদের কথা বলে। আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা। এটি রাষ্ট্রের আয়ের অংশ। কেউ ছাত্রদের কথা বলে বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা বলে দেশের কোথাও এ কাজ করবেন না। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোনো ত্রাণের ট্রাকও যদি কোথাও যায় সেই ট্রাকও টোল দিয়ে যাবে।’