২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২১

আরাফাতকে আটক নিয়ে ধূম্রজাল, যা জানাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

মোহাম্মদ আলী আরাফাত  © সংগৃহীত

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটক করা হয়েছে এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ তার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেননি। ফলে আটকের বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আটক হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। সে সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটকের তথ্য জানান। 

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটকের কোনো তথ্য নেই। ডিবিতে খোঁজ নিয়েছিলেন, সেখানেও আটকের কোনো তথ্য মেলেনি। 

এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাতকে আটক করা হয়নি।’

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তাকে আটকের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ এমন খবরের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানও আটকের বিষয়টি স্বীকার করেননি।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) পক্ষ থেকেও আলী আরাফাতকে আটকের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সপ্তাহ দুয়েক আগে মোহাম্মদ এ আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুশতারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে সব ব্যাংককে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এক চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এ দুজনের নামে থাকা ব্যক্তিগত বা ব্যাবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ধরনের টাকা তোলা বন্ধ করতে বলা হয়। 

গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আলোচনায় আসেন আরাফাত। নির্বাচনে অংশ নিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম। তিনি ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন। তাঁকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীর মতো আরাফাতও পলাতক। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও ৪৬ জন ওই মামলার আসামি। এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলার আসামি আরাফাত।

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে আলোচনা করতেন। এভাবেই তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এরপর থেকে তিনি দলের বুদ্ধিবৃত্তিক নানা কাজে যুক্ত ছিলেন।