২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১৪

রাজশাহীতে শেখ হাসিনা ও শাহরিয়ার আলমসহ ৩৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেখ হাসিনা ও শাহরিয়ার আলম  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে মামলা দায়ের হয়েছে। এতে জাতীয় পার্টির এক নেতাসহ মোট আসামি ৩৪৫ জন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে জেলার বাঘা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বাক্কার সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা দুটির বাদি হলেন- জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও বাঘা বামনডাঙ্গগা গ্রামের মাহাবুব আলমের ছেলে সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকার এবং ছাত্রদলকর্মী ও উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের আশরাফ মুল্লিকের ছেলে জাহিদ হাসান।

পুলিশ জানায়, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকারের দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি শাহরিয়ার আলমসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়। আর ছাত্রদলকর্মী জাহিদ হাসানের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ১৪১ জনের নাম। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি ১০০-১৫০ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ মে দুপুরে বাঘা নতুন বাসস্ট্যান্ডে রাকিবের দোকান থেকে সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোখ মুখ বেধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমর্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। পরের দিন বৈদ্যুতিক সক দেয়া হয় এবং পায়ে রিভালভার ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে পায়ের তিনটি নখ ওপড়ে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ যাবত নাটকীয় টর্চার শেষে ২৮ মে মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয় ঢাকা কোর্টে। 

অপর মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট বেলা ১১টায় জাহিদ হাসানের কিশোরপুর বাজারে মুদিখানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতামর্কীরা হাসুয়া, লোহার রড়, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, পিস্তল নিয়ে হামলা করে। পরে সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয়।

ছাত্রদল নেতার মামলায় শেখ হাসিনা দ্বিতীয় আসামি। আর প্রধান আসামি সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়া তার পিতা শামসুদ্দিন এবং বাঘা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মহিদুল ইসলামও এ মামলার আসামি।

ঝিনাইদহে আব্দুস ছালাম হত্যার ঘটনায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ বিষয়ে মামলার বাদি জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শামীম সরকার বলেন, হত্যার উদ্দেশে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৭ দিন গুম করে রেখেছিল। বাঘা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকায় চালান দিয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। আশা করি, আমি ন্যায়বিচার পাব।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। আটক করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।