২৭ আগস্ট ২০২৪, ২০:২১

মাউশির ভারপ্রাপ্ত ডিজির সঙ্গে গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক নেতার সাক্ষাৎ

মাউশির ভারপ্রাপ্ত ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ  © সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে মাউশি কার্যালয়ে এ ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শিক্ষক নেতা। এ সময় ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলি নিয়ে নানা আলোচনা করেন প্রভাষক সরোয়ার।

এর আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলির দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রভাষক মো. সরোয়ার। শিক্ষকদের দুর্দশার কথা শুনে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মো. সরোয়ার বলেন, আজ সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাকে আমাদের কষ্টের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের দুঃখ গাথা শোনার পর তিনি আমাদের সকল দাবি মেনে নিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিদপ্তর নির্বিশেষে শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেবেন বলে আমাদের কথা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন, বদলি হবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে। এজন্য সফটওয়্যার তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।  

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্য পদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদ্রাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়েছিল। এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্য পদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ পরিপত্র ২০১৫ এর ৭নং অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদেরও আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা এখন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে নারী শিক্ষকদের পাশাপাশি পুরুষ শিক্ষকেরাও নিজ উপজেলা থেকে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার দূরে এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে পরিবার ছেড়ে আরেক জায়গায় চাকরি করছেন।