আনসারদের একাংশ পালালেন, বাকিরা হাত জোর করে চাইলেন ক্ষমা
ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়েছেন আনসার সদস্যরা। টানা ১০ ঘণ্টা সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ রাখার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি হন তারা। পরে সচিবালয়ের প্রেসক্লাব সংলগ্ন গেটে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার পর সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে ছত্রভঙ্গ হন আনসারের সদস্যরা।
তবে কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে থেকে গেলেও তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে দেখা গেছে। এসময় কিছু সদস্যদের আনসারের ইউনিফর্ম খুলে ফেলতেও দেখা গেছে।
জানা যায়, আজ রবিবার রাত ৯টার পর শুরুতে দুই পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন শিক্ষার্থীরা।
রাত ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ফেসবুক লাইভে বলেন, সচিবালয় এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা রাস্তায় ছিলেন তারা সবাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন। আমরা এখানে অবস্থান করব। আর কেউ সচিবালয়ের দিকে যাবেন না।
এর আগে জাতীয়করণের একদফা দাবিতে দুপুর ১২টার পর থেকে সচিবালয়ে সামনে বিক্ষোভ করেন আনসার সদস্যরা। তারা সচিবালয়ের সবগুলো গেট অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাই সচিবালয় থেকে কেউ বের হতে কিংবা প্রবেশ করতে পারছিলেন না। সেখানে উপদেষ্টাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন আনসার সদস্যরা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন ফেসবুকে অবরুদ্ধের বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট দিলে, শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয়ের অভিমুখে রওয়ানা হন। এরপর রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসারদের সংঘর্ষ হয়।
দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এসময় তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয় উভয়পক্ষ।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীরা আনসারদের ধাওয়া করে। এ সময় আনসার সদস্যরা ইউনিফর্ম খুলে জিপিও এলাকা দিয়ে পালিয়ে যান। তবে এসময় কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে থেকে গেলেও তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে দেখা গেছে।