আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫৭
কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলি, সংঘর্ষ ও বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় গত ১৬ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে কমপক্ষে ৭৫৭ জনের মৃত্যু হলো।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুলি, সংঘাত ও সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ ঘটনাস্থলে, আবার কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে হাসপাতালে মারা গেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ ও পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৫০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন ১৬ আগস্ট জেনেভা থেকে প্রকাশিত হয়।
ঢাকার ১৩টি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের ১৪টি হাসপাতাল এবং নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সূত্রে সংঘর্ষ-সংঘাতে এসব মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর মধ্যে ৬৯ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গতকাল পর্যন্ত অজ্ঞাতপরিচয় আটজনের লাশ ছিল। এ ছাড়া দ্রুততম সময়ে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কারণে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি আরও ১৫৭ জনের।