২২ আগস্ট ২০২৪, ২০:১০

যে কারণে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিল ভারত 

ডুম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট  © সংগৃহীত

ডুম্বুর বাঁধ বাঁচাতেই তিনটি গেইটের একটি খুলে দিয়েছিল ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার জেলাশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা। গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) ৩১ বছর পর ত্রিপুরার ডুম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডুম্বুর গেট খুলে দেয়া হয়। ওই বাঁধ খুলে দেয়ায় ভারতের পানি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। যা সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে খুলে দিয়েছিল ভারত।

তরিৎ কান্তি চাকমা তার সরকারি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাণ্ডেলে জানিয়েছেন, গোমতী নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের জলস্তরও বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছিল। বাঁধ বাঁচাতে গেট খুলে জল ছেড়ে দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন : ৩১ বছর পর ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার আগে বাংলাদেশকে সতর্ক করেনি ভারত 

এ কারণে নীচু অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মানুষজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আরও দুজন নিখোঁজ বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সূত্রগুলো। বৃষ্টিপাতের ফলে হাওড়া, খোয়াই, মুহুরী ও ঢলাইসহ রাজ্যের প্রায় সব নদীই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

আরও পড়ুন : বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে : নাহিদ

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর বলেছে, পুরো ত্রিপুরা রাজ্যেই আগামী দু’দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্ক বার্তায় জানানো হয়েছে, যে পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলায় বুধবার ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ওই দুই জেলায় লাল সতকর্তা জারি করা হয়েছে। বাকি ছয়টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন : বন্যা নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে যা বললেন ড. ইউনূস

রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স এবং দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

গোটা রাজ্যে ১৮৩ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, যেখানে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে।