শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং-র্যাগিং প্রতিরোধ’ নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং’ (কটূক্তি, হেনস্তা বা অপমান করা) ও ‘র্যাগিং’ (হুমকি, গালাগাল, নিপীড়ন) রোধে করা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বুধবার (২২ আগস্ট) এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত বছরের ২ মে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধসংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩’ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের ২৯ জুন তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। নীতিমালায় মৌখিক, শারীরিক, সামাজিক, সাইবার ও যৌনসংক্রান্ত বুলিং ও র্যাগিংয়ের সংজ্ঞা রয়েছে। এই নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধে এক বা একাধিক কমিটি গঠন ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং-বিরোধী কমিটি এবং র্যাগিং পর্যবেক্ষণে স্কোয়াড গঠনের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ওই রিট করেন। রুলে শিক্ষার্থীদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় র্যাগিং কার্যক্রম রোধে নীতিমালা প্রণয়নে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। র্যাগিং থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদ্ধতি প্রবর্তনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও রুলে জানতে চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল রায় দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনুন নাহার সিদ্দিকা।