বন্যার পানি দ্রুত নামাতে যে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর পানি উপচে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি দ্রুত নামাতে বিশেষজ্ঞরা নানান পরামর্শ দিচ্ছেন।
বুধবার দিবাগত রাত এবং বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসব পরামর্শ দিয়েছেন তারা। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের পরামর্শগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-
সায়েদুর চৌধুরী নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘ফেণীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি এত মারাত্মক কেন? যারা ম্যাপ ঘাটাঘাটি করেন তারা ফেণী জেলায় একটা আঙ্গুলের মত অংশ দেখে থাকবেন, এই আঙ্গুলটাতেই এই দুই উপজেলা, এর তিন দিকে ভারত। এবং শুধু ভারতই নয়, এই তিন দিকেই পাহাড়ি উচ্চ ভূমি, মাঝখানের এই আঙ্গুলটা সমতল ভ্যালী - মুহুরী নদীর প্লাবনভূমি (floodplain)। ভারতে সাধারণ বৃষ্টি হলেও তার পানি এই প্লাবনভূমী ও মুহুরী নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে পড়ে, অন্য কোনভাবেই এই পানি সরে যাবার পথ নেই। তাই অতিবৃষ্টি হয়ে বা বাঁধের গেইট খুলে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত করলে এই আঙ্গুলটা/ভ্যালীটা থেকে সহজে পানি নেমে যেতে পারে না।
আগে কিন্তু অনেকটাই পারতো, এখন পারে না। তার জন্য আমরাও দায়ী, ভারত একা নয়। আমাদের এই পানি নেমে যাবার নদীগুলো (মুহুরী, ফেণী, সিলোনিয়া, কালিদাস পাহালিয়া) এদের মুখে সেচের পানি ধরে রাখার জন্য আমরা যে বাঁধ দিয়েছি মুহুরী প্রজেক্টে, সেই বাঁধটা ধীরে ধীরে এই সব কয়টা নদীকে আধমরা করে ফেলেছে পলি জমিয়ে। এখন বেশি পানি উজান থেকে আসলেই নদীগুলো আর তা নিষ্কাশন করে কূলিয়ে উঠতে পারে না।’
প্রকৌশলী মু ইমামুল হক লিখেছেন, ‘ফেনীর সোনাগাজী রেগুলেটরের সবগুলো গেট ভাটায় খুলে দিন। জোয়ারের জল উঁচু হলে বন্ধ রাখুন। না হলে বন্যার জল আটকে যাবে।’