আন্দোলনে যোগ দেওয়া স্কুল ছাত্রের মরদেহ ১৬ দিন পর মর্গে শনাক্ত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শামীম হাওলাদারের (১৭) মরদেহ ১৬ দিন খোঁজ মিলেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তার বাবা রুহুল আমিন হাওলাদার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের এই বীর শহীদকে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে গত ৩ আগস্ট সকালে কাউকে কিছু না বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় চলে যায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শামীম হাওলাদার।
ওইদিন দুপুরে উত্তাল ঢাকায় পৌঁছে যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। পর দিন ৪ আগস্ট বিকেলে কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে শেষবারের মতো বাবা রুহুল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে কথা হয় তার। বাবাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে তার জন্য দোয়া করতে বলে।
এরপর কোনো এক সময়ে কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শামীম হাওলাদার।
নিহতের পর তার মরদেহ কে বা কারা মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে রেখে আসে। ৪ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে পরিবারের সদস্যরা শামীম হাওলাদারের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না।
অবশেষে বাবা রুহুল আমিন হাওলাদার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছেলের গুলিবিদ্ধ মরদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে ছেলের মরদেহটি খুঁজে পায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ এই বীর যোদ্ধাকে বুধবার বিকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।