মামলা না নেওয়ায় রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডে সংঘর্ষ চলাকালীন নিহত হন তরুণ আলোকচিত্রী তাহির জামান প্রিয়। এ ঘটনায় তাঁর মা সামসি আরা জামান আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গড়িমসি শুরু করে।
মামলা রুজু করতে রাজি না হওয়ায় নিহতের শুভানুধ্যায়ীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এসময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিষয়টি জানতে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোন নম্বরে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি ও আগের ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন দাবি
এদিকে, মামলা না নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানাজানি হলে অনেকেই এ ঘটনার সমালোচনা করেন।
আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ফেসবুকে লেখেন, পুলিশের যে কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের গুলির নির্দেশ দিয়েছেন, গুলিতে শিক্ষার্থী মারা গেছেন, সেই কর্মকর্তা এখনো একই পদে আছেন। এক শিক্ষার্থীর মা থানায় গেছেন সেই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করতে। থানা মামলা নিচ্ছে না। যিনি অভিযুক্ত তিনি অনুমতি দিচ্ছেন না সুনির্দিষ্ট নামে মামলা নিতে। এটি খুবই বিব্রতকর অবস্থা দু’পক্ষের জন্যই। ভাল হত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অতি সত্তর সরিয়ে দিলে। অপরাধী যেন হত্যা করে পার না পায়। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট তৈরি হচ্ছে। আশা করছি উপদেষ্টাগণের নজরে আসবে বিষয়টি। যখন এই পোস্ট লিখছি তখনই এরকম ব্যাপার ঘটছে নিউ মার্কেট থানায়।
জানা যায়, মো. আবু হেনা মোস্তফা জামান ও সামসি আরা জামানের দম্পত্তির এই ছেলের বেড়ে উঠা রংপুর শহরেই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। আলোকচিত্র বিষয়ে পড়ালেখার জন্য পাঠশালা (সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট)-এ ভর্তি হয়েছিল প্রিয়।