ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে কাঁদছেন পলক, নিশ্চুপ আনিসুল হক
গণ-অভ্যুত্থানে পতনের পর বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর এখন রিমান্ডে আছেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এক উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত এক কর্মকর্তা। নিরাপত্তার কারণে তাঁদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে রাখা হয়। যেখানে সার্বিক বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। প্রশ্ন করলেই মাথা নিচু করে কাঁদছেন। এমনকি ছয় বছর ধরে চালানো নিজের মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের দায়দায়িত্বও নিতে অস্বীকার করে যাচ্ছেন। তিনি বলছেন, মন্ত্রণালয় চালালেও কোনো কিছুই তিনি একা করেননি। মন্ত্রণালয়ে তার ওপরে সরাসরি একজন উপদেষ্টা কাজ করতেন। ওই উপদেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করেই সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে আনিসুল হক জিজ্ঞাসাবাদে কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি। আর হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও বিদেশে পাচারের বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার প্রয়োজনে দেশে ও দেশের বাইরে টাকাপয়সা লেনদেন করতে হয়েছে তাঁর।
ডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, হেফাজতে থাকা সবার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্য আসামিদের মতোই তাঁদের একইভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের তুলনায় তাঁদের সবার স্বাস্থ্যের দিকেই বেশি নজর রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক কামাল মিয়া। এ ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় ডিএমপির নিউমার্কেট থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আলোচিত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (চাকরিচ্যুত) জিয়াউল আহসানকে।