আমার ছবি কম প্রচার করুন: উপদেষ্টা নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে কোন স্পেসিফিক কারণ ছাড়া আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। কয়েকদিন থেকে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। খুব স্পেসিফিক কারণ ছাড়া কিংবা প্রয়োজন হলে সেটার জন্য আমিই আহ্বান করবো আপনাদের। এ বিষয়ে আমাকে আপনারা সহযোগিতা করবেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পূর্বের রীতি অনুযায়ী তথ্যমন্ত্রীর ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় গণমাধ্যম এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়েও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ জানান, নিরপেক্ষ সংবাদ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিয়ে আমাদের খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের অন্যতম একটি পিলার বলা যায়। কাজেই আমরা যদি গণতন্ত্র চাই আমাদেরকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
আমি আরেকটি বিষয় নিয়ে বিষয়ে উল্লেখ করে শেষ করব, আমরা সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের কথা জানি। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে কি পরিমাণ প্রহসন করা হয়েছে, যে বারবার তার প্রতিবেদন গুলা বা পিছানো হয়েছে, সাংবাদিকদের প্রতি নিপীড়ন হয়েছে, এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে ভূমিকা রাখার কথা আমরা সেটি অবশ্যই পালন করব। আমরা আর কোন প্রহসন কিংবা টালবাহানা চাই না। আমরা এর নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে কাজ করছি।
স্বাধীন গণমাধ্যমের উদ্যোগের বিষয়ে উল্লেখ করে নাহিদ জানান, গণমাধ্যমে কি ধরনের বাধা রয়েছে কিংবা এর সমাধান নিয়ে গণমাধ্যমের মানুষদের সাথে কথা বলেই মূলত আমরা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যে-সকল অভিযোগ রয়েছে সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে আমরা সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
পাশাপাশি সেন্সর বোর্ড না থাকার বিষয়ে যে পরামর্শ রয়েছে সেটিও আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে তিনি বলেন, এটিও আমরা পুনর্বিবেচনা করবো। এখানে স্পেসিফিক কিছু বিধিমালা নিয়ে অভিযোগ আছে আমরা সেই বিধিমালা গুলো নিয়ে কথা বলবো, আশা করি এই বিষয়ে সমাধানে আসবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গণমাধ্যমের যে-সকল ফুটেজ অপ্রকাশিত রয়েছে সেদিকে ইঙ্গিত করে নাহিদ জানান, আন্দোলন চলাকালে অনেক ফুটেজ আপনারাও প্রচার করতে পারেন নি। তবে এই মুহূর্তে অপ্রকাশিত সে ফুটেজগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে তদন্ত চলছে। আরেকটি দিক হলো এটা তো আসলে আমাদের একটা ন্যাশনাল মেমোরিরও বিষয়।
সেই তথ্য-উপাত্তগুলা আপনারা যদি আমাদের কাছে সরবরাহ করেন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে, সেটি আমাদের জন্য ভালো হবে। আপনাদের কাছে আরো একটি রিকোয়েস্ট থাকবে যে, আমরা এই মুহূর্তে যে ক্রাইসিসটা ফিল করতেছি তা হলো, আহত যারা রয়েছে অনেক সময় তাদের সঠিক তথ্য আমাদের কাছে আছে না বা আসতে দেরি হচ্ছে, এই জায়গায়ও আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন।